সিআইএর জিজ্ঞাসাবাদের নথি প্রকাশের পক্ষে সিনেটর কমিটি
ভয়াবহতা ও নির্মমতার যে চিত্র ফুটে উঠেছে তা আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়
মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর ‘নির্মম’ জিজ্ঞাসাবাদের নথিপত্রের আংশিক প্রকাশের পক্ষে বৃহস্পতিবার ভোট দিয়েছে সিনেট গোয়েন্দা কমিটি। দেশটির প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বিতর্কিত এসব ঘটনা নথিপত্র জনসমক্ষে প্রকাশের আহ্বান জানানোর পর সিনেট বিষয়টিকে অনুমোদন করলো। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের।
সন্দেহভাজন জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিআইএ জিজ্ঞাসাবাদের নির্মম পদ্ধতিগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ে প্রয়োগ করেছিল। কথা উঠেছে যে, এ ব্যাপারে সিআইএ তৎকালীন সরকারকে প্রায়ই সঠিক তথ্যটি জানাত না। কর্মকর্তারা বলছেন, গোপন নথিগুলোর অংশ বিশেষ সর্বসমক্ষে প্রকাশ হতে কিছুদিন দেরি হবে। সিআইএ বলেছে, রিপোর্টের সব তথ্য সঠিক নয় এদের মধ্যে ভুল তথ্য রয়েছে। সিনেট গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ড্যানি ফেইনস্টেইন বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের ‘আতঙ্কজনক’ পদ্ধতির রিপোর্ট প্রকাশের পক্ষে প্রস্তাবটি ১১-৩ ভোটে পাস হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ওই ডেমোক্র্যাটিক দলীয় সদস্য বলেন, ‘রিপোর্টে ভয়াবহতা ও নির্মমতার যে চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে তা জাতি হিসাবে আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এসব ঘটনা ইতিহাসের পাতায় আমাদের ওপর কালিমা লেপন করেছে। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটুক। এগুলো কোন আমেরিকানের কাজ নয়।’ সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, কমিটির রিপাবলিকান দলীয় অনেক সদস্য রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পক্ষে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে একমত হয়ে ভোট দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রিপাবলিকানদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। ফেইনস্টেইনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক, গণতান্ত্রিক একটি দেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকা- নজরদারি করার প্রয়োজনীয়তা এ থেকে উপলব্ধি করা যায়। সিআইএর গোপন বন্দী রাখা এবং জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থাপনায় যে ত্রুটি রয়ে গেছে এই রিপোর্ট থেকে সেটাও প্রতীয়মান হয়।’ বিবৃতিটির উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘রিপোর্ট প্রকাশ থেকে প্রমাণিত হবে যে যত কষ্টকরই হোক এই জাতি নিজের ভুল স্বীকার করে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ ৬ হাজার ৩শ’ পৃষ্ঠার এই রিপোর্ট বুশ আমলে সিআইএ কর্মসূচী সম্পর্কিত এবং এটি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সিআইএর ইতিহাসেও এটি একটি অস্বস্তিকর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ৬ হাজার ৩শ’ পৃষ্ঠা থেকে ৪শ’ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসারটুকু প্রকাশের পক্ষে সিনেট কমিটি ভোট দিয়েছে। ১ শ’য়ের ওপর বন্দীর ওপর গোপন জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচীটি পরিচালিত হয়।
সন্দেহভাজন জঙ্গীদের বিরুদ্ধে সিআইএ জিজ্ঞাসাবাদের নির্মম পদ্ধতিগুলো সাবেক প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের সময়ে প্রয়োগ করেছিল। কথা উঠেছে যে, এ ব্যাপারে সিআইএ তৎকালীন সরকারকে প্রায়ই সঠিক তথ্যটি জানাত না। কর্মকর্তারা বলছেন, গোপন নথিগুলোর অংশ বিশেষ সর্বসমক্ষে প্রকাশ হতে কিছুদিন দেরি হবে। সিআইএ বলেছে, রিপোর্টের সব তথ্য সঠিক নয় এদের মধ্যে ভুল তথ্য রয়েছে। সিনেট গোয়েন্দা কমিটির চেয়ারম্যান ড্যানি ফেইনস্টেইন বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদের ‘আতঙ্কজনক’ পদ্ধতির রিপোর্ট প্রকাশের পক্ষে প্রস্তাবটি ১১-৩ ভোটে পাস হয়েছে। ক্যালিফোর্নিয়া থেকে নির্বাচিত ওই ডেমোক্র্যাটিক দলীয় সদস্য বলেন, ‘রিপোর্টে ভয়াবহতা ও নির্মমতার যে চিত্র প্রতিফলিত হয়েছে তা জাতি হিসাবে আমাদের মূল্যবোধের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এসব ঘটনা ইতিহাসের পাতায় আমাদের ওপর কালিমা লেপন করেছে। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটুক। এগুলো কোন আমেরিকানের কাজ নয়।’ সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, কমিটির রিপাবলিকান দলীয় অনেক সদস্য রিপোর্টটি প্রকাশ হওয়ার পক্ষে ডেমোক্র্যাটদের সঙ্গে একমত হয়ে ভোট দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, রিপাবলিকানদের মধ্যে এ বিষয়ে মতভেদ রয়েছে। ফেইনস্টেইনের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিষয়টি খুবই উদ্বেগজনক, গণতান্ত্রিক একটি দেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর কর্মকা- নজরদারি করার প্রয়োজনীয়তা এ থেকে উপলব্ধি করা যায়। সিআইএর গোপন বন্দী রাখা এবং জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থাপনায় যে ত্রুটি রয়ে গেছে এই রিপোর্ট থেকে সেটাও প্রতীয়মান হয়।’ বিবৃতিটির উপসংহারে বলা হয়েছে, ‘রিপোর্ট প্রকাশ থেকে প্রমাণিত হবে যে যত কষ্টকরই হোক এই জাতি নিজের ভুল স্বীকার করে এবং ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে অগ্রসর হতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’ ৬ হাজার ৩শ’ পৃষ্ঠার এই রিপোর্ট বুশ আমলে সিআইএ কর্মসূচী সম্পর্কিত এবং এটি নিয়ে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং মার্কিন কংগ্রেসের মধ্যে তীব্র দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। সিআইএর ইতিহাসেও এটি একটি অস্বস্তিকর বিষয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। ৬ হাজার ৩শ’ পৃষ্ঠা থেকে ৪শ’ পৃষ্ঠার সংক্ষিপ্তসারটুকু প্রকাশের পক্ষে সিনেট কমিটি ভোট দিয়েছে। ১ শ’য়ের ওপর বন্দীর ওপর গোপন জিজ্ঞাসাবাদ কর্মসূচীটি পরিচালিত হয়।
No comments:
Post a Comment