বাংলাদেশী জিগির তুলে ভারত ভাগের বলি মানুষদেরই নাগরিকত্ব থেকে বন্চিত করে সারা দেশ ব্যাপী অভিযান চলছে কংগ্রেস বিজেপি যোগসাজসে।
বাংলাভাগের পর হিন্দূ রাষ্ট্রের নয়া জিগির আবার ভারত ভাগের বলি বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য অশনিসংকেত বাংলার বুকে দাঁড়িযে সঙ্ঘ পরিববারের কুলশিরোমণি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ইস্যুক সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আবার হিন্দূ মুসলিম বিভাজনে বাংলা জয়ের ঘোষণা করে গেলেন।
আসলে নজরুল ইসলাম ও রেজ্জাক মোল্লার নেতৃত্বে যে দলিত মুসলিম সংগঠন আগামি বিধানসভা নির্বাচনে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক আধিপাত্যের অবসাণে অন্ত্যজদের ক্ষমতায়ণের যুদ্ধঘোষণা করেছে,তাঁরই প্রতিক্রিয়া ও ক্ষমতাগোষ্ঠির রণকৌশল হল গৌরিক পতাকার এই আক্রামক আস্ফালন,হিন্দু মুসলিম বিভাজন ও কখনো ভারত ভাগের আগের মত দলিত মুসলিম একতায় ক্ষমতাবেদখল হতে না দেওয়ার জোর প্রস্তুতি।
Narendra Modi threatens to deport Bangaldeshis if BJP comes to power
পলাশ বিশ্বাস
Last Updated: Sunday, April 27, 2014, 23:55
Zee Media Bureau/Hemant Abhishek
New Delhi: Bharatiya Janata Party's prime ministerial candidate Narendra Modi made scathing attacks on West Bengal chief minister Mamata Banerjee at an election rally in Shrirampur and said that the National Democratic Alliance (NDA) would investigate the Saradha chit-fund scam when it comes to power.
Addressing over the issue of the chit-fund scam — one of the major rallying points in the state, Modi said, "I assure those who lost money in Sharda chit fund scam that after forming the government there will be tough investigation on it."
Modi accused the Trinamool Congress government in the state of playing votebank politics and claimed that Mamata Banerjee supported illegal Bangaldeshi migrants for their votes. He said, "Mamata ji has made Bengal a ground for vote-bank politics. People from Odisha, Bihar are considered outsiders, but Bangladeshis come and her face shines."
"I want to warn from here, brothers and sisters write down, that after May 16, will send these Bangladeshis beyond the border with their bags and baggages," Modi added.
"You are spreading the red carpet for the Bangladeshis for the sake of votebank politics," he said in this largely mixed constituency, where there is a large chunk of Hindi-belt population who are the main work force in the jute mills here.
He charged the TMC government of playing politics of vendetta and claimed that Mamata used the state's police force to settle scores. He said, "Mamata ji times have changed. You cannot use police to make cases against people. This is not the right path."
The Gujarat chief minister also said that Mamata had not fulfilled the promises she had made when taking over the reins and said, "Mamata Ji people expected better. I always have high regard for you but the dreams of people of Bengal lie shattered."
And in same vein, added, "Mamata ji, kaha gayi aapki mamata? Bengal ne aapko mamata dee aapne us mamta ka kya kar diya? (Mamata ji Bengal invested its faith in you, but wheres' your kindness gone?)"
Taking a dig at the crores that Mamata's paintings sold for, he commented, "Mamata ji I respect you that is why I want to tell you something — you paint well. Earlier your paintings sold for four lakhs but now they sell above a crore. We are very proud that you paint well but who bought your painting for over a crore?"
Modi hailed Subhash Chandra Bose —one of Bengal's most popular heroes— and tweaked his famous slogan to suit the times. "Subhash Chandra Bose said you give me blood and I will give you freedom. I say give me your support and I will give you 'surajya'," said Modi as he signed off.
Trinamool Congress hit back at his attack calling him 'the butcher of Gujarat'.
In a series of tweets originating from its Twitter handle, the TMC claimed that Modi could not take care of his wife and used this to question his candidature for a national role.
বাংলাভাগের পর হিন্দূ রাষ্ট্রের নয়া জিগির আবার ভারত ভাগের বলি বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য অশনিসংকেত বাংলার বুকে দাঁড়িযে সঙ্ঘ পরিববারের কুলশিরোমণি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ইস্যুক সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আবার হিন্দূ মুসলিম বিভাজনে বাংলা জয়ের ঘোষণা করে গেলেন।ইতিপূর্বে ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদী কলকাতায় প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বলেন, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের জন্য স্থানীয় মানুষরা চাকরী সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।নির্বাচনের আগে বিজেপি এবং অন্যান্য কট্টরপন্থী দলগুলোর প্রচার প্রচারণায় বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ নিয়ে কথা শোনা যায়।আজকের টাটকা বক্তব্য হিন্দী ভাষী ও ভিনরাজ্যের মানুষদের প্রতি পশ্চিম ঙ্গীয় বিদ্বেষ প্রসঙ্গে বাংলাদেশিদের প্রতি বিশেষ পক্ষপাতের কথা তুলে শুধু ধর্মোন্মাদী নয়,বরং বাঙ্গালি বিরোধী মেরুকরণের কাজ করে গেলেন মোদী বিনা প্রতিবাদে,যেমন গোরখাল্যান্ড আন্দোলনকে লাগাতার সমর্থন জুগিয়ে বাংলা জাতি সত্তাকে খন্ডিত ভূগোলে কয়েদি করার এজন্ডা নিয়েই এই রাজ্যে এখন রীতিমত গৌরিক ঝড়,তাও আবার ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ক্ষমতা রাজনীতির একতরফা ওয়াক ওভারে।
মোদ্দা কথা হল বাংলার বর্ণবিদ্বেষী ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক ক্ষমতার রাজনীতি মেরুকরণের এই রাজনীতিতে গৌরিক হিন্দুত্ব রাজনীতির জমি তৈরি করতে,দল মত নির্বিশেষ অতিশয় সক্রিয়,বাংলা বিজেপি সমর্থক ভোট চার শতাংশের বেশি নয়,কিন্তু সিপিএম,কংগ্রেস ও তৃণমূল কগ্রেস সহযোগিতায় মেরুকরমের ফলে এই ভোট পনেরো থেকে কোথাও কোথাও চল্লিশ শতাংশ হতে চলেছে।
কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রথম জনসভায় প্রাইম মিনিস্টার ওয়েটিং নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, "পশ্চিমবঙ্গ হোক বা আসাম, বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশের ফলে দুই রাজ্যেই সমস্যা বাড়ছে। ভারতীয় যুবক-যুবতীদের অন্ন সংস্থানের সুযোগ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।"
জনসভায় এ বক্তব্য দেওয়ার সময় উপস্থিত বিজেপি সমর্থকদের হাত তুলে সমস্বরে মোদীর বক্তব্যে সায় দিতে দেখা গেছে।আজও হিন্দুত্ব উন্মাদে বাঙ্গালি সারা দেশ জুড়ে বাঙালি ও বহুসংখ্যক বহিস্কৃত মানুষদের সর্বনাশ প্রকল্পে আগুয়ান পয়দলবাহিনী।মনে রাখা দরকার,ভারতের গুজরাট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০০২ সালের মুসলিম বিরোধী দাঙ্গার জন্য অনুতপ্ত নন বলে ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, তাকে বহনকারী মোটরগাড়ি কোনো কুকুর ছানাকে চাপা দিলে সে জন্য দুঃখ অনুভব করবেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া সাক্ষাতকারে এ সব কথা বলেছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি ও সংঘ পরিবারের হিন্দু হ্রদয় সম্রাট।
আসলে নজরুল ইসলাম ও রেজ্জাক মোল্লার নেতৃত্বে যে দলিত মুসলিম সংগঠন আগামি বিধানসভা নির্বাচনে ব্রাহ্মণ্যতান্ত্রিক আধিপাত্যের অবসাণে অন্ত্যজদের ক্ষমতায়ণের যুদ্ধঘোষণা করেছে,তাঁরই প্রতিক্রিয়া ও ক্ষমতাগোষ্ঠির রণকৌশল হল গৌরিক পতাকার এই আক্রামক আস্ফালন,হিন্দু মুসলিম বিভাজন ও কখনো ভারত ভাগের আগের মত দলিত মুসলিম একতায় ক্ষমতাবেদখল হতে না দেওয়ার জোর প্রস্তুতি।
আসল কথাঃ
অন্ত্যজ, ব্রাত্য, উদ্বাস্তু, উপজাতি, অস্পৃশ্যের বাংলায় কোনও অস্তিত্ব নেই।থাকলেও তারা সংখ্যালঘু শাসকশ্রেণীর কন্ঠেই অভিব্যক্ত হবেন, তাঁদের নিজস্ব কন্ঠস্বরেরে, বাক্ স্বাধীনতার প্রশ্নই ওঠে না। এই একচেটিয়া আধিপাত্যবাদের সংস্কৃতিকে ব্রাহ্মণ্যতন্ত্রের বুনিয়াদ হিসাবে রক্ষা করতেই যারা বদ্ধপরিকর,তাঁরাই আবার ধর্মনিরপেক্ষতার অজুহাতে প্রগতিবাদ জাহির করার কোনও মোকা হাত ছাড়া করতে চান না।বন্চিত শ্রেণীর স্বার্থে একটি কথাও যাদের মুখে শোনা যায় না, বর্ণ ব্যবস্থা কায়েম রাখতে, বর্ণশ্রেষ্ঠত্বের দোহাই দিয়ে সবকিছুই দখল করতে যারা নির্মম মৌলবাদী, তাঁরাই আবার মৌলবাদের কের্তনে আকাশ বাতাশ মুখরিত করছেন। হুতোম বেঁচে থাকলে এই রঙ্গ নিয়ে কি নক্সা পেশ করতেন জানা নেই।তবে বাংলা থেকে নির্বাসিত হওয়ার আগেই কিন্তু বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেছিলেন , যতক্ষন ধর্ম থাকবে, স্ত্রী মুক্তি অসম্ভব।সমতা ও সামাজিক ন্যায় অসম্ভব।জাতি উন্মুলনের প্রশ্ন ওঠে না।ধর্মনিরপেক্ষতার অবকাশ নেই। এমনকি স্বাধীনতা, ভ্রাতৃত্ব, নাগরিকত্ব,নাগরিক ও মানব অধিকার অপ্রাসঙ্গিক এই ধর্মরাজ্যে।পশ্চিমবঙ্গ ব্রাঙ্মণ্যতান্ত্রিক ধর্মরাজ্য।সেখানে ব্যতিক্রমী কন্ঠস্বর থাকার কথাই নয়।কিন্তু কি আশ্চর্য্য দেখুন, যারা ওবিসি, এসসি এসটি সংখ্যালঘুদের মানুষের মর্যাদা দিতে অস্বীকার করেন তাঁরাই ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে তা ত তা থৈ নাচছেন।
বাংলাভাগের পর হিন্দূ রাষ্ট্রের নয়া জিগির আবার ভারত ভাগের বলি বাঙালি উদ্বাস্তুদের জন্য অশনিসংকেত বাংলার বুকে দাঁড়িযে সঙ্ঘ পরিববারের কুলশিরোমণি বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ ইস্যুক সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আবার হিন্দূ মুসলিম বিভাজনে বাংলা জয়ের ঘোষণা করে গেলেন।
মনে রাখা দরকার মুখে মুসলিম বিদ্বেষী রাজনৈতিক বিভাজনের ভোট সমীকরণ রসায়ণ বললেও হিন্দু বাঙ্গালি দলিত শরণার্থীদের বিরুদ্ধেই সারা দেশে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে সংঘ পরিবার ।
আসাম ত্রিপুরা শুধু নয়,সারা দেশে বাঙ্গালি বিদ্বেষের মূল কর্মকর্তা এই সঙ্ঘপরিবার।
ইদানিং মুম্বাইয়ে বাংলাদেশী খেদাও অভিযান কিন্তু আসলে ষাটের দশকের অসমে বাঙাল খেদাওএরই কন্টিনিউটি মুম্বাইয়ের বাঙালি বিদ্বেষী শিবসেনা বিজেপিরই দোসর।
ভারতীয় নাগরিকত্ব আইন সংশোধন বিল সংসদে পেশ করেছিলেন তত্কালীন গৃহমন্ত্রী লৌহপুরুষ লালকৃষ্ণ আডবাণী এবং বাংলার বাম দক্ষিণ ব্রাহ্মণ্য রাজনীতি দুহাত তুলে সমর্থন করেছিল এই আইনেরই।
তারপর উড়ীষ্যার কেন্দ্রাপাড়ায় উদ্বাস্তু উপনিবেশে 1950 সালের পূর্বে,যখন পালপোর্ট ভিসার প্রচলণ হয়নি এ দেশে,যখন আডবানী নিজে ভারত ও পাকিস্তান দু দেশেরই নাগরিক ছিলেন,নোয়াখালি দাঙ্গার শিকার যে বাঙ্গালি দলিত উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল,তাঁদের ডিপোর্টেশন শুরু হল।
উত্তরাখন্ড,ঝারখন্ড ও ছত্তিশগড় নূতন রাজ্য গঠন করে এনডিএ সরকার এবং তিনটি রাঝেরই জাতি সত্তার রাজনীতিকে টেক্কা দিয়ে তিনটি রাজ্যেই ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।
উল্লেখ্য উড়ীষ্যা,মহারাষ্ট্র ও আন্দামান বাদে উত্তরাখন্ড,উত্তরপ্রদেশ,ছত্তিশগড় ও মধ্রপ্রদেশে সপচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু বসতি।
উত্তরাখন্ডে প্রথম সরকার বিজেপির ক্ষমতা দখল করেই 1950 সালে উত্তরাখন্ড ও উত্তরা প্রদেশে পুনর্বাসিত উদ্বাস্তুদের বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী ও বেনাগরিক ঘোষিত করে বিজেপি,যার বিরুদ্ধে উত্তরাখন্ডের উদ্বাস্তুদের আন্দোলনকে যেমন বাংলা সমর্থন করেছিল তেমনিই সমর্থন করেছিল উত্তরাখন্ডের আম জনতা কিন্তু আজ অবধি কোথাও বাঙালি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব স্বাকীর করেনি কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যে মনমোহন সিংহ এই আইনের বিরোধিতা করেছিলেন সংসদে, তিনি নিজে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর সেই আইন আরও জোরদার করা হয়।
বাংলার বাইরে হয়নামি যা হবার,হচ্ছেই,বাংলার প্রতিটি জেলায় বেনাগরিক হিসাবে পাইকারি হিসেবে চিন্হত হচ্ছে ভারতভাগের বলি দলিত মানুষেরাই,অথচ আজ কাল পরশু যারা অনুপ্রবেশ মার্ফত কোলকাতা,শহরতলি ও জেলায় জেলায় সবচেয়ে দামি সম্পত্তি কিনে নিচ্ছেন,তাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে না
সহজেই চোখে আঙ্গুল না দিয়েও বোঝা সম্ভব বাংলাদেশী জিগির তুলে ভারত ভাগের বলি মানুষদেরই নাগরিকত্ব থেকে বন্চিত করে সারা দেশ ব্যাপী অভিযান চলছে কংগ্রেস বিজেপি যোগসাজসে।
অনুপ্রবেশ ও রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রশ্ন উদ্বাস্তু বিতাড়নকে ন্যায়সঙ্গত করতেই
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য,সারা দেশে মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও সংস্কার অভিযানে দেশী বিদেশী পুঁজি ও প্রমোটার রাজের স্বার্থে সারা দেশে বেদখলি অভিযান চলছে।
৩০ মার্চ ২০১৪ জর্জিয়া স্ট্রেইটে ভারতের প্রখ্যাত লেখিকা অরুন্ধতী রায় এর একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। আমেরিকার ভ্যানকুভারে এপ্রিলের ১ তারিখে একটি পাবলিক লেকচার দেওয়ার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করছিলেন তিনি। নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে সাক্ষাৎকারটি দেন তিনি। সাক্ষাৎকারে ভারতের নির্বাচন, কর্পোরেটদের নিয়ন্ত্রণ, প্রধান দুই দলের রাজনীতি, ভারতে ধনী-গরীবের অসমতা, দলগুলির রাজনৈতিক কৌশল, আন্না হাজারে, ভারতের এলিটদের অসমতা নিয়ে কথা না বলা ইত্যাদি বিষয়ে কথা বলেন। তাঁর কথায় ভারতের রাজনীতির অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিক উঠে এসেছে। অরুন্ধতী রায় মনে করেন, ভারতের কর্পোরেট শক্তি চায় নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দেখতে। তিনি মনে করেন, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হলে ভারতের গ্রামের গরীব জনগোষ্ঠীর উপর সেনাবাহিনী ছেড়ে দিবেন।
মোদীর বাংলাদিশী বক্তব্য ও নাগরিকত্ব সংশোধণী আইন এই প্রসঙ্গে বুঝতে হবে
দন্ডকারণ্য ও অন্যত্র যে সমস্ত আদিবাসী অন্চলে উদ্বাস্তু পুন্রবাসন হয়েছে,সেখানেই সবচেয়ে বেশি লগ্নী করপোরেট পূঁজি- শুধু আদিবাসীদের উত্খাত করলেই চলবে না,বাঙালি উদ্বাস্তুদেরও উত্খাত করা চাই - এই জন্যই ভারত ভাগের বলি উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব ছিনতাই লক্ষ্যে নাগরিকত্ব সংশোধণী আইন প্রথম পদক্ষেপ, যা সমান ভাবে আদিবাসী ও শহরান্চলে বস্তি এলাকার কোটি টাকা কাঠা জমি থেকে ছিন্নমূল মানুষদের উত্খাতের করপোরেট প্রকল্প।এই জন্যই নাগরিকত্ আইনে সংশোধণী। সর্বদলীয় সম্মতিতে। বাংলার রাজনীতি আপত্তি করে নি। হাত তুলে সমর্থন করেছে। বাংলা দেশি বিতাড়ণে। আদিবাসী উত্খাত করতে হলে বেওয়ারিশ উদ্বাস্তুদের উত্খাত করার অনিবার্য সেই প্রথম পদক্ষেপ। তার পর তো রীতিমত মহিষাসুর বধ পালা। বেনাগরিক সাব্যাস্ত হলেই অসুর নিধনের বৈদিকী পন্থা।পাইকারি জমি দখল অবাধ বিদেশি দেশি পুঁজির মোচ্ছবে নিজের হিস্সা বুঝে পাওয়া, তাঁরই ডিজিটাল ফর্ম্যাট।
উত্তরাখন্ড ও উত্তরান্চলেও বাঙালি উদ্বাস্তুদের জমি দখলের খেলা চলছে।
ভারতীয় লেখিকা অরুন্ধতী রায় সারা পৃথিবীকে জানাতে চান তার দেশ সে দেশের সবচেয়ে বড় কর্পোরশনগুলির নিয়ন্ত্রণে আছে।
অরুন্ধতী নিউইয়র্ক থেকে জর্জিয়া স্ট্রেইটকে ফোনে বলেন, "সব সম্পদ খুব অল্প সংখ্যক হাতে জমা হয়েছে। এবং এই অল্প সংখ্যক কর্পোরেশন এখন দেশ চালায় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে তারা রাজনৈতিক দলগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করে। তারা মিডিয়াও চালায়।"
দিল্লীর এই ঔপন্যাসিক এবং লেখিকা বলেন, মধ্যবিত্তদের কথা বাদ দিলে, এর ফলে ভারতের শত শত লক্ষ গরীব মানুষের উপর মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে।
অরুন্ধতী স্ট্রেইটের সাথে এপ্রিলের ১ তারিখ সন্ধ্যা আটটায় অনুষ্ঠিত একটি পাবলিক লেকচারের ব্যাপারে কথা বলেন। পাবলিক লেকচারটি হয়েছিল নেলসন স্ট্রিট এবং বারার্ডের কোণায় সেইন্ট অ্যান্ড্রু'স উয়ীসলী ইউনাইটেড চার্চে। তিনি বলেন এটা হবে তাঁর প্রথম ভ্যানকুভার ভ্রমণ।
গত কয়েক বছর ধরে তিনি গবেষণা করে দেখেছেন ভারতের বড় বড় কর্পোরেশনগুলি–যেমন রিলায়েন্স, টাটা, এসার, এবং ইনফোসাইস–কীভাবে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক রকফেলার ফাউন্ডেশন এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশনের মত কৌশল অবলম্বন করছে।
তিনি বলেন, রকফেলার ফাউন্ডেশন এবং ফোর্ড ফাউন্ডেশন দীর্ঘদিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্টেট ডিপার্টমেন্টে, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতে এবং পরে কর্পোরেট উদ্দেশ্য নিয়ে অতীতে অনেক কাজ করেছে।
তিনি বলেন, এখন ভারতীয় কোম্পানিগুলি জনগণের এজেন্ডা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দাতব্য ফাউন্ডেশনগুলির মাধ্যমে টাকা বিতরণ করছে। এই পদ্ধতিকে তিনি বলেন 'পারসেপশন ম্যানেজমেন্ট' বা 'উপলব্ধির জায়গা নিয়ন্ত্রণ'। এই পদ্ধতির মধ্যে পড়ে বেসরকারী সংস্থাগুলিকে চ্যানেলিং ফান্ড প্রদান, চলচ্চিত্র এবং সাহিত্য উৎসব এবং বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন যে টাটা গ্রুপ এটা গত কয়েক দশক ধরে করছে কিন্তু অন্যান্য বড় সংস্থাগুলি এই ব্যাপারটি অনুসরণ করতে শুরু করেছে।
পাবলিক ফান্ডিং-এর জায়গা নিচ্ছে ব্যক্তিগত সম্পত্তিঅরুন্ধতী রায়ের মতে, এ সবকিছুর উদ্দেশ্য আসলে অসমতা বাড়িয়ে তোলে এমন নিওলিবারেল পলিসির সমালোচনাকে চাপা দেওয়া।
আস্তে আস্তে তারা কী কী কাজ হবে তা নির্ধারণ করে। তারা জনগণের চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে জনগণের জন্য নির্ধারিত স্বাস্থ্যখাত এবং শিক্ষাখাতের টাকা সেসব খাত থেকে বাদ পড়ে যায়। এসব বড় বড় কর্পোরেশনগুলি এনজিওদের ফান্ড দিয়ে এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে ঔপনিবেশ আমলে মিশনারিরা যা করত তাই করে। আর নিজেদের দাতব্য সংস্থা হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু তারা আসলে পৃথিবীকে কর্পোরেট-পুঁজির মুক্ত বাজারে পরিণত করার কাজটা করে।
ফটো সৌজন্য 24 ঘন্টা
24 ঘন্টার রিপোর্টঃ লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে ব্রিগেডে দাঁড়িয়ে মমতা ব্যানার্জির দিকে সম্প্রীতির বার্তা দিয়ে টেনেছিলেন লাড্ডুর কথা। এরপর শিলিগুড়িতে দাঁড়িয়ে মমতার বিরুদ্ধে আক্রমণের সুর শুনিয়েছিলন। আর রবিবার শ্রীরামপুরে দাঁড়িয়ে কটাক্ষের সুর একেবারে সপ্তমে তুললেন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।
--------------------------------------------------------------
শ্রীরামপুরের নির্বাচনী প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ নরেন্দ্র মোদীর। কোথায় গেল মমতার মমতা? মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর। মা সারদাকে চিটফান্ড বানালেন কী করে মমতা? প্রশ্ন নরেন্দ্র মোদীর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের কথা কম ভাবেন। বেশি ভাবেন কুর্সির কথা। কোটি টাকার বেশিতে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কে কিনল? তীব্র কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর। ষোলোই মের পর বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ বন্ধ করে দেবেন। আশ্বাস বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর।
সাধারণ মানুষ তাজমহল দেখতে যান। রাহুল গান্ধী যান গরিব দেখতে। সঙ্গে মিডিয়া নিয়ে যান। শ্রীরামপুরের জনসভা থেকে মোদীর তীব্র কটাক্ষ কংগ্রেসের সহ সভাপতিকে।
এদিকে, উত্তর হাওড়ার সালকিয়ায় নরেন্দ্র মোদীকে তীব্র আক্রমণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। যে সংসার সামলাতে পারে না। সে দেশ কি সামলাবে? কটাক্ষ মুখ্যমন্ত্রীর। পরিকল্পনা করে ভোটের মুখে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুত্সা রটাচ্ছে কংগ্রেস-বিজেপি-সিপিআইএম। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর।
মমতাকে বিঁধতে সারদাই অস্ত্র, আ-মোদীত শ্রীরামপুর
গোটা শ্রীরামপুর স্টেডিয়াম কানায় কানায় ভর্তি তো বটেই। উল্টো দিকের ক্লাবের মাঠেও তিলধারণের জায়গা নেই! জি টি রোড থেকে সভাস্থল পর্যন্ত রাস্তার দু'ধারে কাতার দিয়ে লোক দাঁড়িয়ে!
মাঠের জনতা বলতে মূলত ১৮ থেকে ২৮। যতক্ষণ ভাষণ চলল, 'মোদী, মোদী' চিৎকারে তারা ভরিয়ে তুলল রাতের আকাশ!
ভোট-মরসুমে তৃতীয় বারের জন্য এ রাজ্যে এসে এমন মঞ্চকে সদ্ব্যবহার করতে ছাড়লেন না নরেন্দ্র মোদী। রামকৃষ্ণ মিশনের সূত্রে বাংলা যে তাঁর কাছে 'তীর্থভূমি', সেই আবেগ ছুঁয়ে ভোটের ময়দানে ঢুকে 'মা সারদা'-কে চিট ফান্ড বানিয়ে তোলার প্রশ্ন তুলে হাততালা কুড়োলেন বিপুল। ফালাফালা করলেন তৃণমূলের সরকারকে! তিন বারের মধ্যে প্রথম বার ব্রিগেড যদি দেখে থাকে 'নরম' মোদীকে এবং দ্বিতীয় বারে অপেক্ষাকৃত 'গরম' মোদীকে, তা হলে তৃতীয় বারে শ্রীরামপুর দেখল বিধ্বংসী মোদীকে!
রাজ্য রাজনীতির চাকা এখন ঘোরাচ্ছে সারদা-কাণ্ডই। রাজ্যে এসে রবিবার সেই সারদা-কাণ্ডকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী। সারদায় ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি মানুষের প্রতিটি পাই-পয়সার হিসাব দাবি করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেছেন, "মমতাজি, যে বাংলায় মা সারদার পুজো হত, সেই মা সারদাকে চিট ফান্ড বানালেন কী ভাবে!" কটাক্ষ করেছেন, "আপনার আঁকা ছবি ১ কোটি ৮০ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আপনার ছবি কে কিনল, আর কার কার ছবি কিনেছে, তা বাংলার মানুষ জানতে চায়। আপনার মতো এমন চিত্রকরের জন্য দেশ গর্বিত!" দলীয় তহবিলের জন্য তৃণমূল নেত্রীর নিজের আঁকা ছবির প্রদর্শনী থেকে সারদা-কর্তা সুদীপ্ত সেন ছবি কিনেছিলেন, এমন অভিযোগ গত এক বছর ধরে বারেবারেই উঠেছে। অন্য বিরোধীদের মতোই সেই অভিযোগ এ দিন শোনা গিয়েছে মোদীর গলায়। এবং শুধু সেখানেই না থেমে মোদী হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছেন, "দিল্লিতে আমাদের সরকার হওয়ার পরে এই কেলেঙ্কারির ব্যাপারে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড়া হবে না!"
Narendra Modi attacks Mamata Banerjee; TMC hits back, calls him 'butcher of Gujarat'
Zee Media Bureau
New Delhi/Kolkata: Hitting back at Bharatiya Janata Party's (BJP) prime ministerial candidate Narendra Modi over a personal comment made by him on West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee, the ruling Trinamool Congress on Sunday termed him as 'the Butcher of Gujarat'.
In a series of tweets attacking Modi, Trinamool Congress termed Modi as 'The Butcher of Gujarat' who could not take care of his wife.
Trinamool national spokesperson Derek O'Brien today wrote on party website, "The butcher of Gujarat could not take care of his own wife. How will he take care of this great nation?"
"Modi has no answers to Bengal's development model and was therefore making personal attacks," he added.
Heavily criticising Modi for defaming Mamata Banerjee over the amount being received after selling paintings of the West Bengal CM, O'Brien said, "TMC asks Modi to prove his charge that Mamata Banerjee 'pocketed' Rs 1.8 crore by selling one painting of hers or face defamation."
Sarcastically lauding Banerjee's talent for painting, Modi today said, "Your paintings used to be sold for Rs four lakh, Rs 8 lakh or Rs 15 lakh, but what is the reason that one of your paintings sold for Rs 1.80 crore. I respect art. But who was the person who bought the painting for Rs 1.80 crore."
He added, "Saradha is the other name of Saraswati, she is worshipped everywhere, and this Saradha turned into a chit fund? Mamataji, we did not expect this from you."
"Personally, I have always respected you. But what have you done, you have broken the dreams of the people of Bengal," Modi said.
"So much lust for the chair? The people of Bengal had so much expectations from you and gave you so much love, and you could have done so much for the state, but you are doing what the Left had been doing.
You are walking on their footsteps only. You have imbibed the bad things of both the Left and the Congress," said Modi, who had in the beginning gone soft on Banerjee, but stepped up his attack on her recently.
Turning to the large gathering, Modi asked whether those involved in the scam should be punished and whether the sufferers should not be paid back their investments.
He further accused the Trinamool Congress government in the state of playing votebank politics and claimed that Mamata Banerjee supported illegal Bangaldeshi migrants for their votes.
"Mamata ji has made Bengal a ground for vote-bank politics. People from Odisha, Bihar are considered outsiders, but Bangladeshis come and her face shines," Modi said.
Taking on P Chidambaram, the Gujarat CM said, "You are the finance minister of the country, who are you trying to shield, who are you helping? Mamataji and Chidambaramji, the people of Bengal want to know who are you together trying to save?
"I want to draw your attention that owing to some people, your image is getting sullied. This is not good for you and not for the country's democracy also," he said.
গুজরাট সরকারে নরেন্দ্র মোদীর 'ডানহাত' যারা
অঞ্জন রায় চৌধুরী, নয়াদিল্লি
ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী ২০০১ সাল থেকে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। চলতি লোকসভা নির্বাচনে তার গুজরাট মডেলটি বহুল প্রচারিত। গুজরাটে তার শাসনামল ভাল ছিল বলেই প্রচার করা হচ্ছে। গুজরাট সরকারে তিনি পূর্ণ কর্তৃত্বও স্থাপন করেছেন। আর এটা সম্ভব হয়েছিল কেবল তার কিছু বিশ্বস্ত লোকের জন্য। যারা তার 'ডানহাত' বলে পরিচিত।
মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলে তার এসব বিশ্বস্ত লোক দিল্লিতে বদলি হয়ে আসতে পারেন। তারাই মোদীকে নানা পরামর্শ দিয়ে সরকার পরিচালনায় সাহায্য করতে পারেন যেমনটি গুজরাটে করেছেন। এরা ভারতের সিভিল সার্ভিসের (আইএএস) উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। মোদীর সবচেয়ে বিশ্বস্ত ব্যক্তিটি হলেন আইএএস'র ১৯৭৯ ব্যাচের কর্মকর্তা কুনিল কৈলাসনাথান যিনি গুজরাটে মোদীর প্রধান মুখ্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মোদীর অত্যন্ত বিশ্বস্ত এই ব্যক্তিটি কে.কে নামে নামে পরিচিত। রাজনৈতিক বিষয়গুলো তিনিই দেখভাল করেছেন এবং তার মাধ্যমেই মোদী গুজরাটের আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ২০১৩ সালের ৩১ মে তিনি অবসরে গেলেও ওই বছরের পহেলা জুন থেকে তাকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
গুজরাটের গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন কুনিল। চলতি লোকসভা নির্বাচনে মোদীর রাজনৈতিক সমঝোতার ক্ষেত্রে পরামর্শদাতা হিসেবে কাজ করছেন এই কুনিল। মোদীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ আরেকজন কর্মকর্তা হলেন জিসি মুর্মু যিনি গুজরাট মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৮৫ ব্যাচের এই কর্মকর্তা মোদী এবং তার অন্যতম ডানহাত অমিত শাহের আইনগত বিষয়গুলো দেখাশোনা করছেন। গুজরাটে মোদীর উন্নয়ন কাজ নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালনা হচ্ছে লোকসভা নির্বাচনে। মোদীর এই উন্নয়নের ভাবমূর্তির পেছনে কাজ করেছেন ১৯৮৮ ব্যাচের আইএএস কর্মকর্তা এ কে শর্মা। তিনি এর আগে উত্তরপ্রদেশে কর্মরত ছিলেন। পরে তাকে গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রধান সচিব হিসেবে নিয়ে আসা হয়। তিনিই গুজরাটে ব্যবসায় সম্মেলন এবং গুজরাটের অবকাঠামো খাত উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মোদীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ সবচেয়ে জুনিয়ন কর্মকর্তা হচ্ছেন বিজয় নেহরা। ২০০১ ব্যাচের এই আইএএস কর্মকর্তা গত বছর পর্যন্ত আহমেদাবাদের ডিসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে যুগ্ন সচিব (আইনশৃঙ্খলা) হিসেবে বদলি করা হয়। তিনি অতিরিক্তি দায়িত্ব হিসেবে মোদীর অফিসের যুগ্ম সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তাকে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
No comments:
Post a Comment