এই শীমেল রাজনীতি হইত্যে সাবধান
অথচ যাদবপুর কাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট বলছে, ঘটনার পর নিগৃহীতা ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে গুরুত্ব দেননি উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে এখনও সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
যাদবপুর কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত পুলিসের পাশেই থাকল রাজ্য সরকার।
কোন্ বাহান্দের ছ্যামড়ি রে তুই,এত্তো বড় হাঁ,ষাঁড়ের মুলুকে ডরার না তরাস না,শ্লীলতা হানির ভয় করস না
বারান্দায় অতি প্রেমঘন ঐ প্রতীক্ষামেদুর মিছে কড়ারোদ্দুর, কোন্ বাহান্দের ছ্যামড়ি রে তুই,এত বড় হাঁ
রেপ করাইয়া দিব,মুন্ডু ছিইড়া লইব,হেই ছ্যামড়িডা,তুই কোন বাহান্দের.ডরস না তরস না,শুধু কইতাছ হোক কলরব হোক কলরব
পলাশ বিশ্বাস
Hok Kolorob (হোক কলরব)
hok kolorob ful gulo sob lal na hoye nil holo ken, osomvobe kokhon kobe megher shathe mil holo ken…
Hok Kolorob (হোক কলরব)
artist: Arnob
album: Hok Kolorob
হোক কলরব ফুলগুলো সব
লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান
অসম্ভবে কখন কবে
মেঘের সাথে মিল হলো ক্যান
হোক অযথা এসব কথা
তাল না হয়ে তিল হলো ক্যান
কুয়োর তলে ভীষণ জলে
খাল না হয়ে ঝিল হলো ক্যান
ধুত্তরি ছাই মাছগুলো তাই
ফুল না হয়ে চিল হলো ক্যান
হোক কলরব ফুলগুলো সব
লাল না হয়ে নীল হলো ক্যান
বাহত্তর ঘন্টায় পর্বতস্য মুষিক প্রসবঃ
যাদবপুর কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত পুলিসের পাশেই থাকল রাজ্য সরকার। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁর কাছে যে ফুটেজ এসেছে পৌছেছে তা দেখে স্পষ্ট পুলিস কোনও অন্যায় করেনি। অবিলম্বে ছাত্রছাত্রীদের ক্লাসে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন তিনি। আজ রাজ্যপালের সঙ্গেও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আজও থমথমে। রেজিস্ট্রার অফিসে পৌছলেও, উপাচার্য এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি। এদিকে, অরবিন্দ ভবনের সামনে অবস্থানে বসেছেন ছাত্রছাত্রীদের একাংশ। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি থেকে তাঁরা যে সরছেন না, তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ছাত্রছাত্রীদের তরফে। এদিকে, উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চার নম্বর গেটের কাছে যেসব পোস্টার পড়েছিল, সেগুলি আজ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। প্রতিটি গেটে বসেছে পুলিস পিকেট। সন্দেহ হলে ছাত্রছাত্রীদের পরিচয়পত্র পরীক্ষা করা হচ্ছে।
অথচ যাদবপুর কাণ্ডে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য। রিপোর্ট বলছে, ঘটনার পর নিগৃহীতা ছাত্রী অভিযোগ জানাতে গেলে গুরুত্ব দেননি উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তী। যদিও তদন্ত কমিটির রিপোর্ট নিয়ে এখনও সরকারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গতকালই এই রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। তদন্ত করতে গিয়ে কমিটির সদস্যরা দুজন সাক্ষীর সঙ্গে কথা বলেছেন। ছাত্রী নিগ্রহের ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে ডাকা হয়েছিল। তার মধ্যে একজন বহিরাগত এবং অন্যজন বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র। তবে, ওই দুই অভিযুক্ত সাক্ষ্য দিতে আসেননি। যাদবপুরকাণ্ড নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করার পর পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়া হয় সরকারের তরফে। কমিটির চেয়ারম্যান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সুরঞ্জন দাস নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। কথা বলেন উপাচার্য অভিজিত্ চক্রবর্তীর সঙ্গেও। তারপরেই রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি।
কোন্ বাহান্দের ছ্যামড়ির রে তুই,এত্তো বড় হাঁ,ষাঁড়ের মুলুকে ডরার না তরাস না,শ্লীলতা হানির ভয় করস না
বারান্দায় অতি প্রেমঘন ঐ প্রতীক্ষামেদুর মিছে কড়ারোদ্দুর, কোন্ বাহান্দের ছ্যামড়ি রে তুই,এত বড় হাঁ
যতই ফুটুক কাশ ফুল,যতই হোক ঘন শিশির,বাতাসে হিমের পরশ,এই নৈরাজ্যে শরত এখনো বহুদুর বহুদুর
ঢাকের কাঠি ঢাকে মাতা খুইড়্যা মরিব এইবার নির্ঘাত,
গৌরী সেন এ্যাক্ষুনে জেলে রইছ্যেন, জৌলুসের টাকা দিব কোন হালায়,মোত্সবের মাইরে বারোটা বাজিয়ে দিলে ঔ ব্যাটা সিবিআই
রাস্তায় রাস্তায় ব্যাপক জানজটে বোনাসের বাহার দেক্খো না বিডি,পুলুশ মামুর চিনি মামি,তিনি চাইয়া বইস্যা আইছেন সাক্ষাত জামদানি ঢাকাইয়া সঙ্গে আবার ঈলশ্যা মাছের বিরিয়ানি,বোনাস ত ব্যান্কের লাইগ্যা,বাজারের তরে চাই ঘুষ,ঘুষটারে দিতে হইবই,তাহাদের তদন্ত হইব কিসে
খাসা একখানা গান জুড়ে দিয়ে ঠ্যাঙানি,ক্যালানি ও শ্লীলতাহানির হাত হইতে বাঁচতেই পারো বাছাধন,স্বপন বসু সুশীল কিনা জানিনা,কোনো কুশীল বা কুশীলব হইব কিনা জানিনা,গানে গানে ভাসাইয়া দাও যত জ্বালাতন
যেমনি ঔ একখানা গান রইছে না যেডা আবারস্বপন বসুর কন্ঠে বড় মিঠা লাগতাই,তা একটু ঘুরাইয়া গাইলেই পারোঃ
হেথায় তুরে মানাইত্যচে না,যা লালবাজারে যা
হেথায় তুরে মানাইত্যছে না,যা হুগলি পারে যা
যা রগড় হইছে একখানা,বুঝবে পরে ছ্যালা,কাঁঠালের আঠা শুধু প্রেমের তরে নাই রে বিটি,আগুনের পরশ লাগে যহন হিয়ার মধ্যিখানে,ক্ষমতা রাজনীতির বাপ মায়ের সাধ্যি নাই ঠেকাইবার পারে
যত্তো সব সাপুড়ে,ক্ষামতা নাই বাপুরে
ধরে আনে মরা যত সাপ
রাজপথে ছেড়ে দিয়ে ভাবতাছে পাবলিক ভড়কাইল বল্যে
তা পাবলিক একখানি হইছে বাপু,কখন কি কারে কখন ঠেকাইব,কে জানে
কমরেডরা বুঝিয়াছেন হাড়ে হাড়ে,পাবলিক কাটিলে সে বিষ ঝাড়নে যাইব কি মরণে যাইব বলা মুশকিল
যারা বুঝনদার আরো বেশি তাঁরা আবার গন্ধে গন্দে শুঁয়োপোকা প্রজাতিরহেই সরস্যাক্ষেত্র ত আর হইবো না এ পোড়া দ্যাশে,শুঁয়োপোকার জ্বালাতন বুঝব কিসে,কাটে না দংশেও না ,শুধু পিচকারি মাইরা জান কাহিল কইরা ছাডে়
মাইরি গন্ধ শোঁকা শুয়োপোকা কি হিয়ার মাঝে কি আগুন জ্বলতাছে,বুঝব কোনো কাল,বুঝব বারান্দায় রদ্দুর ছাইড়্যা এই ছ্যামড়িরা নন্দিনীর মত আলোর সন্ধানে বৃষ্টিতে ভিজতে লাগছে,গাঁজা মদ ভাঙের কারোবারে যা হইবার নয় পারলে ভাই ওনাদের বনগাঁ বা সীমান্ত এলাকার হেরোইন খোরদের এলাকায় ফাঠান,তা হইলে বুঝব নেশা করলি কি হইব আর কি হইব না,সাধু সাবধান
যে কডা হরিবোল হরিবোল কইরা মাতান দ্যায়,সব কডা কি মতুয়া হইব,তাই বইলা কি মতুয়া নাই মাতন নাই
শুনছিলাম বটে,অধিক সন্যাসিতে গাজন নষ্ট,তা সন্নাসি ত এই গাজনে দ্যাখতিচি না,তাঙইলে এই চড়তকের বাণ বইব কে,গাঙ ওথাল পাথাল ভাঙা নায়ে চড়তাচে যারা তাঁদের মরণ হইলে কারে দোষাইব বাছাধন
রেপ করাইয়া দিব,মুন্ডু ছিইড়া লইব,হেই ছ্যামড়িডা,তুই কোন বাহান্দের.ডরস না তরস না,শুধু কইতাছ হোক কলরব হোক কলরব
কাগজে আইজ শীমেল গবপ্পোখান পড়ছ, উভয়নিঙ্গ হওয়েন সুবিধা ভারি,সোনাগাছিক কমাই লাগে কুনখানে
চাকরি বাকরি, রুজি রুটি নাই, ত ছেইল্যা ছোকররা রুপান্তর কইরা সিকুরিইটি গার্ড হইতে করপোরেট অফিস্যারের হ্যাংলামি,লাখোলাখ হুমড়ি খাইয়া পড়ার ঝক্কি হইতে বাঁচতে পারব
এ্যামনিতেই যাহারা এই সুসীল সমাজ তাহারা ও ত শীমেল এক এক খান বটে,যাকিছু ঘটে,মওকা বুইঝ্যা পক্ষ নিলেই হয, জিতনের পরচিতল মাছের পেটি সহকারে ভুরি ভোজ,তরপর অন্য ইস্যুর বেলায় এক্কেবারে শীমেল একখানি,চক্ষু খুইল্যা দ্যাখ রে বেটি ওরিজিনাল বেটা মাগি এ্যাই দ্যাশে আছে কয় জনা,মউকা ধেইখ্যা শোওনের ক্ষ্যমতা থাকলেই, রুপান্তরে মদ্দো মাগিক সুখ দিতে পারলেই হইব
এই শীমেল রাজনীতি হইত্যে সাবধান
বাংলাদেশি শিল্পী অর্ণবের ‘হোক কলরব’ গানটির শিরোনামের এই শব্দযুগল হয়ে দাড়িয়েছে পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্তদের প্রতিবাদের ভাষা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক, টুইটারে ‘হোককলরব’ হ্যাশ ট্যাগ ব্যাবহার করে আন্দোলনের কথা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তারা। #হোককলরব লেখা ব্যানারও ব্যাবহার করছেন ক্যাম্পাসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।
ছাত্ররা জনিয়েছেন তাদের সঙ্গে প্রতিবাদে সামিল হতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।
ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, নিরপেক্ষ তদন্ত এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে তাদের আন্দোলন চলবে।
উল্লেখ্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫৫ সালে, কিন্তু তার সূচনা আরও পঞ্চাশ বছর আগে। ... প্রযুক্তি-বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে যাত্রা শুরু করে যাদবপুরে ক্রমশ গড়ে ওঠে সমতুল্য দুটি কলা ও বিজ্ঞান শাখা। আজ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সব বিচারেই ভারতের প্রথম দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বলে গণ্য হয়; কোনও-কোনও বিচারে তার স্থান আরও উচ্চে।
সোমবার যাদবপুর-কাণ্ডের প্রতিবাদে স্বর্ণের মেডেল ফিরিয়ে দিয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী অহনা পন্ডা। ২০০৯ সালে তিনি ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হয়েছিলেন। এই কৃতিত্বের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে দিয়েছিলেন স্বর্ণের মেডেল। -
এভাবেই কিছু কথা, কয়েকটি শব্দ অথবা একটি গান হাতিয়ার হয়ে ওঠে। মুষ্ঠিবদ্ধ হয় লাখোজোড়া হাত। আন্দোলন, সংগ্রামে রাস্তায় নেমে আসে মানুষের স্রোত। পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজখবর পেয়ে থাকলে কথাগুলো মনে উঁকি দিতে পারে।
গত ২৮ আগস্ট সেখানে ঘটে এক মর্মান্তিক ঘটনা। ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই কিছু ছাত্রের হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এক ছাত্রী। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসে নিয়ে যৌন নির্যাতন করা হয়। এরপর স্বাভাবিকভাবেই দায় এড়িয়ে যাওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ থাকে নির্বাক, ভেতরে ভেতরে ‘আলোচনার মাধ্যমে’ সমঝোতার চেষ্টা চলে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা সেটা মেনে নেয়নি। তারা নেমে পড়েছে রাস্তায়। -
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ২৮শে অগাস্ট এক ছাত্রী নিগৃহিত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় এ বিক্ষোভ। শিক্ষার্থীদের মিছিলে পুলিশ চড়াও হওয়ার পর আন্দোলন আরও বড় আকার নেয়।
‘হোক কলরব’ কী
‘হোক কলরব’ অ্যালবামটি প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। ১২টি গানের অ্যালবামের তৃতীয় গান ‘হোক কলরব’। গানটির রচয়িতা রাজীব আশরাফ। সুর করেছেন ও কণ্ঠ দিয়েছেন সায়ান চৌধুরী অর্ণব।গানটির রচনাকাল ২০০৪ সাল। সে সময়েই রাজীব আশরাফের একটি লেখা থেকে গানটি তৈরি করেন অর্ণব।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী শিক্ষার্থীর একাংশ। ছবি: আইএএনএস।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিবাদী শিক্ষার্থীর একাংশ। ছবি: আইএএনএস।
রাজীবের প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ২১শে সেপ্টেম্বর সংগীত শিল্পী শাহানা বাজপেয়ী লিখেন, “আমার প্রিয় ভাই রাজীব আশরাফকে ধন্যবাদ, এমন বুদ্ধিদীপ্ত কিছু শব্দ উপহার দেওয়ার জন্য। যা আজ স্লোগানে পরিণত হয়েছে।#হোককলরব।”
একই দিনে রাজীব লিখেছেন, “আমিও আছি আমার পূর্ণ সমর্থন নিয়ে তোমাদের সঙ্গে। আমার লেখা ‘হোক কলরব’ যদি অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে এতটুকুও অনুপ্রেরণা যোগায় তোমাদের, তাতেই আমার লেখার স্বার্থকতা। জয় মানুয়, জয় মানবতা। #হোককলরব”
No comments:
Post a Comment