Monday, September 29, 2014

Phobia inflicted gods in Bengal

উত্সবে উত্কন্ঠা মহামারী
কাজে আসিছে না কারণবারি
উদ্বোধনেও বিপদ ভারি
পলাশ বিশ্বাস
উত্সবে উত্কন্ঠা মহামারী
কাজে আসিছে না কারণবারি
উদ্বোধনেও বিপদ ভারি
বাবু বিবিদের বিপদ ভারি ,মো্ত্সবের মেজাজ গুরুগম্ভীর!

যেখানে যত ছিলেন গৌরী সেন একে একে গেলেন জেলে!
জাল গোটানোররকম সকম দেখে
মনে হচ্ছে ভয় ভয়!
কি হয়,কি যে হয়!
ভয় গোপন জবানবন্দীতে
ভয় ইকবালিযয়া বযান
মিললে পর কি হয় না হয়!
যদি অসুর ব্যাটারা
রাজসাক্ষী হয়!
যদি সব কেলো ফাঁস হয়
ভয় শুধু ভয়,কি যে হয়!


তাই এই বঙ্গে এত রঙ
গাজনের ছড়াছড়ি
তবু কেলোর কেত্তনে
মমম গন্ধ গাযেব,কি যে করি!

আ মরি আমার সোনার বাংলাদেশ!
শষে কি তেতুল গোলা হবে ঘরে ঘরে!
মেঠাই মন্ডা মত্স মাংস ছেড়ে
শেষে কে ইডলি দোসা হবে ঘরে ঘরে!

খেলার মাঠ বা কেকে আর
সব হল দিনে দিনে কাবার!
প্যান্ডেল আছে,আলো আছে
আরো আছে থিম
সভাপতি  লাপতা একুনি!

বোধনেই বিসর্জন হয় হয়
কে দেবে রে মালপানি!
পুষিবে কে মস্তানি
কে দেবে ঠ্যাঙানি!
রেপ করাবে কারা
সবইতা কারাগার!

দ্বিতীয়াতেই মোত্সব শুরু
রাজকাজ শুধু মোত্সবে তালে তাল
কাজের কাজ হচ্ছে না!
ফ্যাতাড়ুরা পাখনা মেলে
গু ফেলে দখলদারির তালে!
ফেল কবিরা সারি সারি
ফেসবুকে করিছে দফা রফা!


কোথায যে জ্বালামুখি
শুয়ে আছে গোপনে!
কোথায় কবে হবে বিস্ফোরণ!
হাসতে হাসত পাহাড়ে
কি জঙ্গল মহলে কি হয় হয়!

কাছাকাছি যত জন
কিনা কি করছে সাজিশ!
ধরে যদি সিবিআই
কি আবার বলে ফেলে!
গোপন জবান বন্দির ফাঁস
গলায় আটো আটো!

মোমবাতি জ্বলে না কলা
কি কচু হবে ধুনুছি নাচ
ধুনুচি নাচিছে কপালে!
যত গরুচোর,আঙুল ফুল
কলাগাছ পালে পালে
আছে সব পিঠ বাঁচানোর তালে!


আপন প্রাণ বাঁচা চাচা
বোকচা বোকচি সব
সরিয়ে সরে পড়ার তালে!
তিল হলে তাল বেতাল
বড় ভয় মাগো,বড় ভয়!
উত্কন্ঠা .বড়ই উত্কন্ঠা!

সবাই আছে ফাঁকতালে
কে যে কবে কি কোথায়
বেফাঁস বলে ফেলে!

অসুর যেখানে সেখানে
ক্যামেরা ভাঙ্গলেও
বাগে আসে না!
আনাচে কানাচে
গোপন বৈঠকেও
আড়িপাতা শালা অসুর!

মীডিযা,বুম তার হাতিযার!

যাদবপুরে মোবাইল লাইভ
ছাত্র ছাত্রিরা ও অসুর!


দেবি যে কি করেন!
কত কাল থাকেন!
থাকবেন কতক্ষণ!

তালে কি অকালে
বিসর্জন দশমীর আগে!
তাই দ্বিতীয়াতে এত
উদ্বোধন উদ্বোধন!

সারাক্ষণ ভয় ভয়!
উত্কন্ঠা ভযাবহ!
বীভত্স ভয় ভয়!

ঢাকের আওয়াজ
জেলে বসে শুনছে যেন কারা!

ফাঁসিযে না দেয় তাঁরা!

কি ভয় কি ভয়!
উত্ত্কন্ঠা শুধু উত্কন্ঠা!
কন্ঠা শুকায়ে যায়!
দেবির বাক্যি হারায়ে যায়!

ছবি হল কত বিকিকেনা!
ছবি হোল কত পোস্টো!
উন্নয়ন হল আরো বেশি
সবকিছু হল কাঁচকলা!
মন আনচান,উত্কন্ঠা
উত্কন্ঠা মহামারী!

হাসপাতালে লাইন লম্বা!
সেখানেও সিবিআই!
পুজো প্যান্ডেলে ইডি!
মাঠে ময়দানে ফিলিমে
যাত্রাপালায সিবিআই!
কি যে করি কি যে করি!

অসুর নিধনে দেবির অকাল বোধন
অসুরের বড় বাড়াবাড়ি!
অসুরের হাতে দেবির হায়রানি!
দেবির বাকরুদ্ধ বাণী!

সিংহে কুলোচ্ছে না!
লাঠি পেটা শ্লীলতাহানি
তাও  কুলোচ্ছে না!
সর্বত্র কামদুনি হচ্ছে না!

বরং দফায় দফায়
সিবিআই!  সিবিআই!
এমন কি রেপ করিয়েও
মুন্ডু ছিঁড়েও কুলোচ্ছে না!


অসুর সামলানো দায়!
দেবির এই বুঝি হয়ে যায়!
উর্দি ছাডা় পুলিশের
রাম ক্যালানিতেও
থামচে না সুনামি!

সিবিআই পিছে পিছে
জাঁক জৌলুস সব হল মিছে!
শিবসেনাও লাগছে না কাজে!

অসুর ব্যাটারা!
বিটিরাও অসুর!
এই অসুরের দ্যাশে!

ভুলচে না ক্যামনে বাজল
বারোটা তাঁদের জীবন জীবিকার!
ক্যামনে লুঠ হল সবকিছু
পরিবর্তনের কল কৌশলে!

নাচন কোঁদন, চক্ষুদানেও
ভোলে না শালা, সেই ঈলিশে
চাই কচু,প্রসাদে চাই পুঁইশাক!

কুমড়ো ল্যাবড়া খিচুড়ি
খাবি খা, চুপ চাপ থাক
তা কিন্তু হচ্ছে না!

ইবোলার ভয নাই
উত্কন্ঠা চিকিত্সে হলে
প্রাণে বেঁচে যাই!

উদ্বোধনে কাটবে কতক্ষন!
চক্ষুদানও হল!
এবার কি প্রাণদান!

হরিবোলে মাতাম!
তাতেই তেঁতুল গোলা হল!

খেতে হবে তাই ইডলি দোসা!
যত যা ফলাফল
থাকবে না তার খোসা!

শেষে জেলে সুগার বাড়লে
পাই না পাই শশা!
যা জবর মশা!
ঘুম হয়ম না হয়!

এর চেয়ে দেবি না হয়ে
রাস্তায় ভালো ছিল দিনকাল!
ছবি ছিল উজ্জ্বল,হায়!

বামাসুর বধে শেষে
মহিষমর্দিনীর এই হাল!

বদলে গেল দিন কাল
উত্কন্ঠা উত্কন্ঠা!

ন্ন্দি ভৃঙ্গিরাও আছে তালে
কি যে আছে কপালে!
উত্কন্ঠা উত্কন্ঠা!

নবারুণদা থাকলে!
ফ্যাতাড়ুরা ঠেক ছেড়ে
খোলা গলায় বলত
কি যে হচ্ছে বাল!
গু মাখিয়ে ছাড়ত
যত আছে নীল লাল!

মরে গেছে নবারুণ!
তবু যেন ভয়
ফ্যাতাড়ুরা বোমচাক
ঝিনচাক দখল না করে ফেলে!

সব সালা অসুরের ব্যাটা বেটি
নবারুণ আজকাল!
অসুর ফ্যাতাড়ু এক হল
কি যে হল দিনকাল!

No comments:

Post a Comment