বাংলা ভাগে মুসলিম দলিত বহুজন খেদানোর খেলা এবার কাশ্মীরে!
মহাভারত কথা অমৃতসমানঃহিন্দুত্ব ও ইসলামের নামে অধর্মের বলি মনুষত্ব সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে!
ইউরোপে আইলান সুনামি,মানুষের মিছিল উদ্বাস্তুদের সমর্থনে,বাংলায় উদ্বাস্তুরা সেই সহানুভূতি সেই সমর্থন ও সেই সম্মান কোনো দিন পায়নি, যদিও বাঙাল হইলেও তাহারা হিন্দুও বটে!
সাধু সাবধান!
কাশ্মীর জ্বলছে!
ভারতে আগুন লেগেছে!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,যেদিন গুজরাতে মায়ের গর্ভ চিরে রাজনীতি,ক্ষমতা ও বাণিজ্যর অধর্ম ত্রিশুলে মনুষত্ব বলি হয়েছিল!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,ভুপালে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গিনিপিগের মত রাসায়নিক গ্যাসের অনুসন্ধানেমুক্ত বাজার পত্তন হয়েছিল বা সারা দেশে শিখ নিধন হয়েছিল বা বাবরি ধ্বংসের পরও দাহ্গার অনন্ত মিছিল যেমন আজও সমাজ বাস্তবে লেলিহান দাবানল!
পলাশ বিশ্বাস
প্রসঙ্গঃসংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ,এই মুহূর্তে ধর্ম নিয়ে ভারতে আলোচনা তুঙ্গে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে দিনদিন ধর্মভিত্তিক মেরুকরণ আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বাড়ছে পারস্পরিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার চোরা স্রোত এখন পৃথবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের বুকে তীব্রতা পাচ্ছে। এই রকম একটা সময় প্রাথমিক সংস্কৃত বইগুলিতে হিন্দু-মুসলিমদের সহাবস্থান সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে এল নতুন একটি গবেষণামূলক বইতে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিকদের এই উদ্যোগ হয়ত ভারতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
পড়ুনঃ
Protest in Valley against HC Ban on Beef : Daily " Chattan " Srinagar: September 12 :
#Kashmir is BURNING on #BEEFBAN PYRE! Mufti aligned with #RSS fails to control the fire!
পড়ুনঃ
बहुत खतरनाक है कि कश्मीर फिर जल रहा है। पूरा देश मुकम्मल गुजरात है।
সাধু সাবধান!
কাশ্মীর জ্বলছে!
ভারতে আগুন লেগেছে!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,যেদিন গুজরাতে মায়ের গর্ভ চিরে রাজনীতি,ক্ষমতা ও বাণিজ্যর অধর্ম ত্রিশুলে মনুষত্ব বলি হয়েছিল!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,ভুপালে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গিনিপিগের মত রাসায়নিক গ্যাসের অনুসন্ধানেমুক্ত বাজার পত্তন হয়েছিল বা সারা দেশে শিখ নিধন হয়েছিল বা বাবরি ধ্বংসের পরও দাহ্গার অনন্ত মিছিল যেমন আজও সমাজ বাস্তবে লেলিহান দাবানল!
দাবানল নাহি মানে দিশা কিংবা নিশা,যুদ্ধবিরাম নাই!
আগুনের লেলিহান শিখা দংশিবে কারে কারে,দহনে জ্বলিবে ঘর কার কার,কোন কোন দেশে প্রতিশোধে ছারখার হবে সাধের আবাদ,জানি না!
তসলিমাকে ভালোবাসি!
তসলিমাকে সম্মান করি!
তাঁর মত প্রাণ দিয়ে লিখতে পারবো না কোনো দিন তাই!
তসলিমার লেখা পড়ে হিংসা হয় নিজের অক্ষমতার লাগিয়া!
নির্বাচিত কালামের চেয়ে বড় বিপ্লব সে কোনো দিন করেছে মনে করি না!তাঁর নির্বাসনে বাণিজ্য ও মুক্ত বাজারের ছোঁয়া আছে,জানি!তবু পুরুষতান্ত্রিক ক্ষমতা ও অধর্মের বিরুদ্ধে তাঁর প্রতিবাদী কন্ঠস্বরকে সমর্থন করি!
তাঁর লেখা লজ্জাকে বাংলা উপন্যাসের শ্রেণীতে কোথাও রাখব না,না ইতিহাসের নিরিখে,না নারীসত্তার নিরিখে,না সাহিত্যের নিরিখে,না সমাজবাস্তবের অন্বষণে-কোথাও না-একতরফা বিবরণে বাংলাদেশে
সব মানুষ সাম্প্রদায়িক হিন্দু বিদ্বেষী মানিনা,তাই!
তবু ত চলছে সেই উত্পীড়ণের মুক্তধারা অব্যাহত!তবু ত সীমান্ত পেরিয়ে বার বার বহে চলে রক্তনদী অবিরাম!
তবু ত মুক্তবাজারি অধর্মের ধর্মোন্মাদী কারোবারে সীমান্তের এপারে ওপারে সমান সমান সংখ্যালঘু উত্পীড়ন!
লজ্জাতেই লেখা আছে বাবরি ধ্বংসের উত্তরকথা!আর কিছু নাই!
ভারত ভাগের কারণ বাংলা ভাগ,যে ইতিহাসে লেখা আছে,সেই ইতিহাস মিথ্যা!পূর্ব বাংলার সংখ্যাগুরু মুসলমানরা বাংলা ভাগ চায়নি!
সেদিন বাংলা ভাগ না হলে,পান্জাব ভাগ না হলে,কাশ্মীর ভাগ না হলে,ক্ষমতা ও আধিপাত্যের একচেটিয়া দখল ভাগের দেশে দেশে হয়না তাঁদের,যারা আজ ক্ষমতায় দেশে দেশে!
পরিচয়ে কিছু নাহি আসে যায়!
ক্ষমতার রং একই রং,ধর্মের দোহাই দিয়ে অধর্মের গণসংহার যাদের কারোবার!
সেদিন যারা বাংলায় আগুন জ্বালিয়েছিল,সেদিন যারা পান্জাবে ট্রেন ভরতি লাশের মিছিল এপার ওপার করেছিল,তাঁদের দেখা মিললেও রাস্তার মোড়ে মোড়ে,রাজনীতির রং বেরং মুখোশের অন্তরালে জিঘাংসার ঔ আসল অমানুষ মুখ আমরা চিনি না!
সেই ভারত ভাগের পরও বার বার জ্বলিছে সমানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-এমনকি একই অধর্মের মুক্তবাজারি আগুনে জ্বলিয়া পুড়িয়া ছারখার সাধের শ্রীলন্কা ,সেখানে আধারে তামিল সংহার!
সেই ভারত ভাগের পরও বার বার জ্বলিছে সমানে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান-এমনকি একই অধর্মের মুক্তবাজারি আগুনে জ্বলিয়া পুড়িয়া ছারখার হিন্দুত্বের কুরুক্ষেত্রে নবতম সংযোজন পূর্বতন হিন্দু রাষ্ট্র নেপাল আবার হিন্দু রাষ্ট্র হইতে হইব.ইহারই লাগিয়া!
নেপালে মরিছে কাহারা আখের,বুঝো ঠ্যালা!
সে ব্যাটারাও জাতে অছুত,পিছড়ে বর্গের মানুষজন,মধেশি!
ইতিহাস থেকে ,ভূগোল থেকে ভারতভাগের বলি হয়ে,উদ্বাস্তু হয়ে বেদখল হল কারা- সবা ব্যাটা বেটি নমো,পোদ,মালো,জেলে,কৈবর্ত্ত যত নচ্ছার শিডউল কাস্ট অছুত পিছড়ে ছোডলোক!
জমিদারি নেই!
জমিদার আছে বহাল তবিয়তে জমিদারিতেই!
ভারত,বাংলাদেশ,পাকিস্তান,নেপাল,শ্রীলন্কা-সবই জমিদারি!
শুধু কি হিন্দু মুসলিমে মারামারি!
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিশ্বজোড়া পারমাণবিক তেল যুদ্ধ কাদের আমদানি!
মদ্যপ্রাচ্যে ইসলামের একচেটিয়া ভুগোলে ইতিহাসে কাদের হানা!
ইরাক জ্বলিল কাহার দোষে!
ভিযেতনামে কবরখানা কাহার লাগিয়া!
ল্যাটিন আমেরিকার দেশে আগ্রাসন,কাহাদের!
আফ্রিকায় উপনিবেশ কাহাদের!
সাবেক সোবিয়ত ভাঙ্গিয়া মনুষত্বের গোরস্থান নির্মাণে সীমান্তের কাঁটাতারে বিদ্ধ হৃদকমল,তেলের আগুনে পাখিদের ডানা আগুনের ছানা আর সব শেষে বাবার হাত ছাড়িয়ে আইলানের সাতদরিযায় তেরো নদীতে অনন্ত ভাসান,কাহার পাপে বুঝহ এখন!
এই যে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মিয়ামার থেকে বিতাড়ন,তাহাও কি হিন্দু মুসলিম মহাভারত!
বৌদ্ধময় ভারতবর্ষ,বোধ্ধময় বাংলাদেশ,গৌতম বুদ্ধের রক্তহীন বিপ্লব,সাম্যের অহিংস পন্চশীল- কহ কোনটা আখেরে দায়ী সু চির সেই নোবেল বিজয়িনী নির্মম তঠস্থতার কারণ,যাহা রোহিঙ্গা বিপর্যয়ের কারণ!
মিলিটারি জুনতা শুধু মিয়ামারের কাহিনী নহে!
সলওয়া জুড়ুম,আফস্পাও মিলিটারি জুনতার ভিন নাম!
সবচাইতে দুঃখের সাম্যের রহমের রহিমের পাক ইসলামেও এখন দেশে দেশে কাফির মিলিটারি জুনতা!
আবার মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের নামে মনুষত্বের গণসংহার!
আবার মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের নামে এই মহাদেশে দশ দিগন্ত মহাভারত কথা অমৃতসমান!
সমুদ্রমন্থনে সেই বিষ হলাহল,শিবের অন্ত্রধ্যান রামরাজত্বে!
আহা কি আনন্দ!
আহা কি বাজার!
আহা আমার সোনার বাংলা,সকল দেশের রানি,আমার বৌদ্ধময়
ভারতবর্ষের উত্তরসুরিদের ইহা কি আজব কাহিনী!
যাহা রাজনীতি,তাহাই ধর্ম এখন!
যাহা বাণিজ্য,তাহাই ধর্ম!
একদিকে দিকে দিকে উত্সব কার্ণিওযাল মুক্ত বাজার আহা কি আনন্দ!
অন্যদিকে জ্বলছে কাশ্মীর!
অন্যদিকে জ্বলছে অসম,সারা পূর্বোত্তর!
অন্যদিকে গো বলয়ে জাতের নামে বজ্জাতি দাঙ্গা ফসাদ!
গরু খাইতে মানা ,শুয়োর কাইতে নিষেধ নাই!
বাবাসাহেবর মহারাষ্ট্রে দলিত পরাভব!
আদিবাসী ভূগোলে বেদখলি অভিযান সলওযা জুড়ুম!
বাংলাদেশে ইসলামি রাষ্ট্রবাদের দোহাই দিয়ে রাজনীতি,সারা বাংলাদেশে আগুন!
নেপালে হিন্দুত্বের প্রত্যবর্তনে আন্তর্জাতিক ইন্ধনে বহুজন বিনাশ!
শ্রীলন্কার তামিল গণসংহার!
সহিংস রাজনীতির ব্যাভিচারে যদি ধর্ম বলিয়া জানো,পাঁচ উয়াক্ত নমাজ,ইবাদত,দোয়া, পুজা ,ধ্যান, রোজা,দেহ শুদ্ধি,দীক্ষা.দান ধ্যান কাহার প্রয়োজনে!
বাংলা ভাগে মুসলিম দলিত বহুজন খেদানোর খেলা এবার কাশ্মীরে
মহাভারত কথা অমৃতসমানঃহিন্দুত্ব ও ইসলামের নামে অধর্মের বলি মনুষত্ব সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে!
ইউরোপে আইলান সুনামি,মানুষের মিছিল উদ্বাস্তুদের সমর্থনে,বাংলায় উদ্বাস্তুরা সেই সহানুভূতি সেই সমর্থন ও সেই সমামান কোনো দিন পাযনি,যদিও বাঙাল হইলেও তাহারা হিন্দুও বটে!
হিন্দুত্ব ও ইসলামের নামে রাজনীতি ও ক্ষমতার অলিন্দে মুক্ত বাজারের সর্বনাশা ধর্মান্ধ বসন্তের অন্ধকারের অধর্মের সৌদাগররা জানেন কি জানেন না যে তাঁরা আম মসুলমান,দলিত,বহুজনদের জীবনে সেই 1947 বার বার ফিরিয়ে আনছেন,যখন দশ দিগন্ত শুধু আইলানের ভাসানে চিত্রার্পিত হয়ে আছে আর পৃথীবী জুড়ে নেমেছে উদ্বাস্তুর ঢল!
মুক্ত বাজার!
বণিকের লাগিয়া উন্মুক্ত সীমান্ত!
শিশু ও নারী ,মাদক ও সোনা পাচারের জন্য খোলা আছে সব সীমানার বেড়া অবাধ পুঁজির মধুচক্র দেশে দেশে!
অধর্মের পোয়াবারো দেশে দেশে!
জাতের নামে বজ্জাতি দেশে দেশে!
ইস্ট ইন্ডিয়া কম্পানী আসিছে ফিরিয়া রক্তবীজ হইয়া,মা কালীরও সাধ্যি নাই সব খাইয়া সাবাড় কইরা দিবো!
মহাভারত কথা অমৃতসমানঃহিন্দুত্ব ও ইসলামের নামে অধর্মের বলি মনুষত্ব সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে!
ইউরোপে আইলান সুনামি,মানুষের মিছিল উদ্বাস্তুদের সমর্থনে,বাংলায় উদ্বাস্তুরা সেই সহানুভূতি সেই সমর্থন ও সেই সম্মান কোনো দিন পায়নি, যদিও বাঙাল হইলেও তাহারা হিন্দুও বটে!
সাধু সাবধান!
কাশ্মীর জ্বলছে!
ভারতে আগুন লেগেছে!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,যেদিন গুজরাতে মায়ের গর্ভ চিরে রাজনীতি,ক্ষমতা ও বাণিজ্যর অধর্ম ত্রিশুলে মনুষত্ব বলি হয়েছিল!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,ভুপালে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গিনিপিগের মত রাসায়নিক গ্যাসের অনুসন্ধানেমুক্ত বাজার পত্তন হয়েছিল বা সারা দেশে শিখ নিধন হয়েছিল বা বাবরি ধ্বংসের পরও দাহ্গার অনন্ত মিছিল যেমন আজও সমাজ বাস্তবে লেলিহান দাবানল!
শরণার্থীদের সমর্থনে এবার পথে নামলো ইউরোপ
সংবাদে প্রকাশ, শরণার্থীদের সমর্থনে এবার পথে নামলো ইউরোপ। যুদ্ধবিদ্ধস্ত পশ্চিম এশিয়ার ভিটেমাটি হারানো মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের রাজধানী এবং বড় শহরগুলোয় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
শরনার্থী সংকটে বেফাঁস মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। শরনার্থীদের ঠেকাতে নতুন নীতির ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভ বেড়েছে ইউরোপের মানবাধিকার সংগঠনগুলির। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি শরণার্থী বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলিতে।
সংবাদ সংস্থার খবরে প্রকাশ,এই মুহূর্তে ধর্ম নিয়ে ভারতে আলোচনা তুঙ্গে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে দিনদিন ধর্মভিত্তিক মেরুকরণ আরও প্রকট হয়ে উঠছে। বাড়ছে পারস্পরিক অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ। ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার চোরা স্রোত এখন পৃথবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের বুকে তীব্রতা পাচ্ছে। এই রকম একটা সময় প্রাথমিক সংস্কৃত বইগুলিতে হিন্দু-মুসলিমদের সহাবস্থান সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ্যে এল নতুন একটি গবেষণামূলক বইতে। স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিকদের এই উদ্যোগ হয়ত ভারতে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করতে সাহায্য করবে।
কালচার অফ এককাউন্টারস: স্যান্সকৃত অ্যাট দ্য মুঘল কোর্ট নামক বইটির লেখক অড্রে রুশেক। দক্ষিণ এশিয়ার সংস্কৃতি ও বৌদ্ধিক ইতিহাসের এই স্বনামধন্য গবেষকের মতে ষোলশ থেকে অষ্টাদশ শতকে ভারতে ইসলামিক শাসনকালে দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান চরমে পৌঁছেছিল। বরং সে অর্থে ধর্মীয় বিবাদ প্রায় ছিলই না বলা যায়।
প্রচলিত ধারণা মতে মধ্যযুগে যখন ভারতীয় উপমহাদেশে সম্প্রসারিত হচ্ছে ইসলামিক শাসন তখনই নাকি হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সঙ্ঘাত শুরু। রুশেক ঠিক এই ধারণাকেই চ্যালেঞ্জ করেছেন তাঁর বইতে।
তাঁর বইতে মুঘল আমলে ভারতে ধর্মীয় বৌদ্ধিক বিকাশের পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা দিয়েছেন। বর্ণনা দিয়েছেন সেই আমলে হিন্দু ও পার্সিয়ানদের জীবনযাত্রারও।
''প্রচলিত ধারণার একেবারে বিপরীত চিত্র উপস্থাপিত করেছে অড্রের গবেষণা। যে ধারণা চিরকাল বলে এসেছে মুসলিম শাসকরা ভারতীয় ধর্ম, সংস্কৃতি ও ভাষার প্রতি বিদ্বেষমূলক আচরণ করে এসেছেন।'' স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে মন্তব্য করা হয়েছে। রুশেকের মতে ১৭৫৭ থেকে ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে মূলত এই বিবেধ ধারণার জন্ম।
তিনি লিখেছেন ''নিজেদের স্বার্থে নিজেদেরকে নিরপেক্ষ রক্ষাকর্তা দাবি করে ব্রিটিশ শাসকরা আসলে হিন্দু-মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চেয়েছে। প্রাচীনকাল থেকেই তারা একে অপরের শত্রু, এই ধরণের বিকৃত ইতিহাসকে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছে।''
ঔপনিবেশিকতার অবশাসনের পরেও ডানপন্থী আধুনিক হিন্দুত্ববাদীরা রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে এই বিবাদকে জিইয়ে রাখতে চেয়েছেন। মত অড্রের।
তিনি লিখেছেন ভারতে বর্তমান ধর্মীয় বিবাদ মুঘল শাসনকালের আসলে ভ্রান্ত ব্যাখার উপর নির্মিত। উপমহাদেশীয় ইতিহাসের সঠিক মূল্যায়নের অভাবেই আধুনিক সময়ে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা বাড়ছে। যেখানে মুঘক আমলে ধর্মীয় সংঘর্ষের ইতিহাস মিথ্যে সেখানে, সেই মিথ্যেকেই মূলধন করা হচ্ছে।
নিজের গবেষণায় তিনি দেখিয়েছেন মুসলিম শাসকরা কখনই ভারতীয় সংস্কৃতি বা হিন্দুত্ববাদের উপর আধিপত্য কায়েম করতে চাননি। বরং সে সময়ে ধর্ম ও ভাষার ক্ষেত্রে অসাধারণ সহাবস্থান স্থাপন করেছিল উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ।
তিনি দাবি করেছেন মুঘল শাসকরা পুরাতন ভারতীয় সাহিত্য ও জ্ঞান চর্চাকে সমর্থন করেছেন।
অড্রে আশা করেছেন তাঁর গবেষণা আধুনিক ভারতের রাজনৈতিক অবস্থানে অতীতসময়ের প্রভাব খুঁটিয়ে দেখতে নয়া ঐতিহাসিক দিশা দেখাবে।
শরণার্থীদের সমর্থনে এবার পথে নামলো ইউরোপ
শরণার্থীদের সমর্থনে এবার পথে নামলো ইউরোপ। যুদ্ধবিদ্ধস্ত পশ্চিম এশিয়ার ভিটেমাটি হারানো মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে ইউরোপের প্রায় প্রতিটি দেশের রাজধানী এবং বড় শহরগুলোয় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন।
শরনার্থী সংকটে বেফাঁস মন্তব্য করে ইতিমধ্যেই বিতর্কে জড়িয়েছেন হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবান। শরনার্থীদের ঠেকাতে নতুন নীতির ঘোষণা করা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষোভ বেড়েছে ইউরোপের মানবাধিকার সংগঠনগুলির। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এই প্রতিবাদ কর্মসূচি। এর পাশাপাশি শরণার্থী বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র, পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়ার মতো দেশগুলিতে।
মহাভারত কথা অমৃতসমানঃহিন্দুত্ব ও ইসলামের নামে অধর্মের বলি মনুষত্ব সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে!
ইউরোপে আইলান সুনামি,মানুষের মিছিল উদ্বাস্তুদের সমর্থনে,বাংলায় উদ্বাস্তুরা সেই সহানুভূতি সেই সমর্থন ও সেই সম্মান কোনো দিন পায়নি, যদিও বাঙাল হইলেও তাহারা হিন্দুও বটে!
সাধু সাবধান!
কাশ্মীর জ্বলছে!
ভারতে আগুন লেগেছে!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,যেদিন গুজরাতে মায়ের গর্ভ চিরে রাজনীতি,ক্ষমতা ও বাণিজ্যর অধর্ম ত্রিশুলে মনুষত্ব বলি হয়েছিল!
ভারতে সেদিনও আগুন লেগেছিল,ভুপালে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে গিনিপিগের মত রাসায়নিক গ্যাসের অনুসন্ধানেমুক্ত বাজার পত্তন হয়েছিল বা সারা দেশে শিখ নিধন হয়েছিল বা বাবরি ধ্বংসের পরও দাহ্গার অনন্ত মিছিল যেমন আজও সমাজ বাস্তবে লেলিহান দাবানল!
No comments:
Post a Comment