Saturday, January 10, 2015

মোদী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপঃ


মোদী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপঃ

কয়লা খনি সংক্রান্ত যে অর্ডিনান্সটি নেমে এসেছে, তার বিরুদ্ধে গোটা ভারত জুড়ে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ছত্তিসগড় বাচাও আন্দোলনের সুধা ভারদ্বাজের কথায়, এই অর্ডিনান্স প্রাইভেট সেক্টরের হাতের মুঠোয় এনে দেবে কয়লা খনিগুলোকে। পাব্লিক সেক্টরের আন্ডারটেকিংগুলো প্রভূত সমস্যায় পড়বে। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক যে সম্পদ এর যোগান খুবই কম, সেই ক্ষেত্রগুলোতে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো লাভ বাড়াবার জন্য যথেচ্ছ উত্তোলন বাড়াবে, ফলে বিপদে পড়বে দেশের মানুষদের জন্য কয়লার সংরক্ষণের প্রক্রিয়া। কয়লার বন্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত যে পরিমাণে কেন্দ্রীভূত আকারে নেওয়া হতে চলেছে, তাতে রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরো খুব বেশী কিছু বলবার জায়গা বেচে থাকবেনা। যে অর্ডিনান্স কয়লার খনিতে বানিজ্যিক উত্তোলনের ছাড়পত্র দেয় তা দেশের মানুষের জন্য কি বিপজ্জনক তা বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।

ইনস্যুরেন্স সেক্টরে FDI ২৬% থেকে বেড়ে ৪৯% হয়েছে।

ক্যাবিনেট সম্প্রতি একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে- রেল ব্যবস্থার পরিকাঠামোর ব্যাপারে ১০০% FDI এর প্রস্তাব। অর্থাৎ মোদী রেল বেসরকারী হচ্ছেনা বলে আপাতত গুপিটা দিলেন বটে, কিন্তু আড়ালে আবডালে রেল ব্যবস্থাতেও দিব্যি বেসরকারীকরণ ঢোকার রাস্তা তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশী ফার্ম গুলো ট্রেন চালাবেনা ঠিকই, কিন্তু এই FDI এর বিল তাদের হাতে বুলেট ট্রেন সাপ্লাই থেকে রেলের নেটওয়ার্ক তৈরী- পুরোটারই সুযোগ ছাড়ছে।

গোটা বিশ্বে ভারত স্বাস্থ্যখাতে কম ব্যয় করা দেশের লিস্টে বেশ উপরের দিকেই থাকে, বরাবর। USA ৮.৩% ব্যয় করে এবং চীন এর ব্যয় ৩%। সেখানে ভারত GDP-র ১% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করে। এই অবস্থার উপর দাঁড়িয়ে মোদী সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ২০% কমিয়ে দিল, মানে ৯৪৮লক্ষ ডলারের কাছাকাছি টাকা আর স্বাস্থ্যে ব্যয় করা হবেনা। আর সরকারী হাসপাতালের অবস্থাও আরো খারাপ হবে, আর রমরমিয়ে ব্যবসা করবে বেসরকারী নার্সিংহোমগুলো। আর স্বাস্থ্যের অধিকার সাধারণ মানুষের হাতের আরো বাইরে। দেখালে বটে মোদী সরকার!

নতুন অর্ডিনান্সের খবর এর মধ্যে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে আর এক-দু সপ্তাহের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণ আইন সংক্রান্ত অর্ডিনান্স আসতে চলেছে। Right to Fair Compensation and Transparency in Land Acquisition, Rehabilitation and Resettlement Act, 2013 কে বদলে ফেলা হবে খুব শিগগিরি। বস্তি উচ্ছেদ থেকে নিয়মগিরি পাহাড় লুঠ থেকে জল-জঙ্গল-জমির অধিকার লুঠ- সহজতর হবে এই প্রক্রিয়া।


"আচ্ছে দিন" এসে গেছে, বোঝাই যাচ্ছে ।

— with Kisholoy Chesta Choluk and 49 others.
মোদী সরকারের সাম্প্রতিক কিছু পদক্ষেপঃ     কয়লা খনি সংক্রান্ত যে অর্ডিনান্সটি নেমে এসেছে, তার বিরুদ্ধে গোটা ভারত জুড়ে সরব হয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ছত্তিসগড় বাচাও আন্দোলনের সুধা ভারদ্বাজের কথায়, এই অর্ডিনান্স প্রাইভেট সেক্টরের হাতের মুঠোয় এনে দেবে কয়লা খনিগুলোকে। পাব্লিক সেক্টরের আন্ডারটেকিংগুলো প্রভূত সমস্যায় পড়বে। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক যে সম্পদ এর যোগান খুবই কম, সেই ক্ষেত্রগুলোতে প্রাইভেট কোম্পানিগুলো লাভ বাড়াবার জন্য যথেচ্ছ উত্তোলন বাড়াবে, ফলে বিপদে পড়বে দেশের মানুষদের জন্য কয়লার সংরক্ষণের প্রক্রিয়া। কয়লার বন্টন নিয়ে সিদ্ধান্ত যে পরিমাণে কেন্দ্রীভূত আকারে নেওয়া হতে চলেছে, তাতে রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদেরো খুব বেশী কিছু বলবার জায়গা বেচে থাকবেনা। যে অর্ডিনান্স কয়লার খনিতে বানিজ্যিক উত্তোলনের ছাড়পত্র দেয় তা দেশের মানুষের জন্য কি বিপজ্জনক তা বুঝতে সমস্যা হবার কথা নয়।     ইনস্যুরেন্স সেক্টরে FDI ২৬% থেকে বেড়ে ৪৯% হয়েছে।     ক্যাবিনেট সম্প্রতি একটি প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে- রেল ব্যবস্থার  পরিকাঠামোর ব্যাপারে ১০০% FDI এর প্রস্তাব। অর্থাৎ মোদী রেল বেসরকারী হচ্ছেনা বলে আপাতত গুপিটা দিলেন বটে, কিন্তু আড়ালে আবডালে রেল ব্যবস্থাতেও দিব্যি বেসরকারীকরণ ঢোকার রাস্তা তৈরী করে দেওয়া হচ্ছে। বিদেশী ফার্ম গুলো ট্রেন চালাবেনা ঠিকই, কিন্তু এই FDI এর বিল তাদের হাতে বুলেট ট্রেন সাপ্লাই থেকে রেলের নেটওয়ার্ক তৈরী- পুরোটারই সুযোগ ছাড়ছে।     গোটা বিশ্বে ভারত স্বাস্থ্যখাতে কম ব্যয় করা দেশের লিস্টে বেশ উপরের দিকেই থাকে, বরাবর। USA ৮.৩% ব্যয় করে এবং চীন এর ব্যয় ৩%। সেখানে ভারত GDP-র ১% স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় করে। এই অবস্থার উপর দাঁড়িয়ে মোদী সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ২০% কমিয়ে দিল, মানে ৯৪৮লক্ষ ডলারের কাছাকাছি টাকা আর স্বাস্থ্যে ব্যয় করা হবেনা। আর সরকারী হাসপাতালের অবস্থাও আরো খারাপ হবে, আর রমরমিয়ে ব্যবসা করবে বেসরকারী নার্সিংহোমগুলো। আর স্বাস্থ্যের অধিকার সাধারণ মানুষের হাতের আরো বাইরে। দেখালে বটে মোদী সরকার!     নতুন অর্ডিনান্সের খবর এর মধ্যে বাতাসে ছড়িয়ে পড়েছে। শোনা যাচ্ছে আর এক-দু সপ্তাহের মধ্যেই জমি অধিগ্রহণ আইন সংক্রান্ত অর্ডিনান্স আসতে চলেছে।  Right to Fair Compensation and Transparency in Land Acquisition, Rehabilitation and Resettlement Act, 2013 কে বদলে ফেলা হবে খুব শিগগিরি। বস্তি উচ্ছেদ থেকে নিয়মগিরি পাহাড় লুঠ থেকে জল-জঙ্গল-জমির অধিকার লুঠ- সহজতর হবে এই প্রক্রিয়া।        "আচ্ছে দিন" এসে গেছে, বোঝাই যাচ্ছে ।
Like ·  · Share

No comments:

Post a Comment